বিশ্বব্যাপী সোনার বাণিজ্যের কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল দুবাই। যাকে পুরো বিশ্বের “স্বর্ণের শহর” হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া দুবাই সোনার স্বচ্ছতা, বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের জন্য বিখ্যাত। আজকের এই প্রতিবেদনেটি dubai gold price 22k এর দাম কত এবং ২২ ক্যারেট স্বর্ণ সম্পর্কিত সকল তথ্য।
Contents
- 1 dubai gold price 22k
- 2 22K গোল্ড কি
- 3 ট্যাক্স ছাড়া দুবাই থেকে বাংলাদেশে কত গ্রাম স্বর্ণ নিয়ে আসা যায়
- 4 দুবাইকে কেন সোনার শহর বলে
- 5 দুবাইতে সোনার দাম কম কেন
- 6 আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
- 7 বিনিময় হারের প্রভাব
- 8 সরবরাহ এবং চাহিদার প্রভাব
- 9 dubai gold price 22k সোনার দামের ঐতিহাসিক প্রবণতা
- 10 সোনা ক্রয় পূর্বে করনীয় বিষয়
- 11 শেষ কথা
dubai gold price 22k
২২ ক্যারেট সোনার দাম কত? আজকের সোনার বাজারের রেট অনুসারে ২২ ক্যারেট এর ১ গ্রাম সোনার দাম ২৫৯.৫০ দিরহাম যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ হাজার ৫৪ টাকা। এবং সবচেয়ে ভালো সোনা ২৪ ক্যারেট এর প্রতি গ্রামের দাম ২৮০.৫০ দিরহাম।
আর এই সোনা আন্তর্জাতিক মান অনুসারে বিশ্ববাজারে বিক্রি করা হয় প্রতি গ্রাম অনুযায়ী।
dubai gold price 22k এর আজকে মূল্য
স্বর্ণের পরিমাণ | দিরহাম (AED) | টাকা (বাংলাদেশ) |
১ গ্রাম | ২৫৯.৫০ দিরহাম | ৮ হাজার ৫৪ টাকা |
২ গ্রাম | ৫১৯ দিরহাম | ১৬ হাজার ৯০৯ টাকা |
৩ গ্রাম | ৭৭৮.৫ দিরহাম | ২৫ হাজার ৩৬৩ টাকা |
৫ গ্রাম | ১২৯৭.৫০ দিরহাম | ৪২ হাজার ২৭২ টাকা |
১০ গ্রাম | ২৫৯৫ দিরহাম | ৮৪ হাজার ৫৪৫ টাকা |
১ ভরি (১১.৬৬গ্রাম) | ৩০২৫.৭৭ দিরহাম | ৯৮ হাজার ৫৭৯ টাকা |
22K গোল্ড কি
dubai gold price 22k কি? স্বর্ণের দামের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত জানার পূর্বে , আমাদের জানা দরকার 22K সোনা দ্বারা কী বোঝায়। সোনার বিশুদ্ধতা পরিমাপ করা হয় ক্যারেট এর মাধ্যমে। অর্থাৎ 24 ক্যারেট স্বর্ণ কে খাটি স্বর্ণ বলা হয়। এতে রয়েছে 99.99% সোনা।
বিপরীতে 22k স্বর্ণে 22 অংশ সোনা এবং দুই অংশ অন্যান্য ধাতু যেমন তামা, রৌপ্য বা দস্তা রয়েছে। উচ্চ স্তরের বিশুদ্ধতা 91.67% বজায় রেখে এই 22K সোনাকে এর বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্থায়িত্ব দেয়। এর স্থিতিস্থাপকতার কারণে, 22K সোনা প্রায়ই গয়না তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ায়, যেখানে এটি অত্যন্ত পছন্দের।
ট্যাক্স ছাড়া দুবাই থেকে বাংলাদেশে কত গ্রাম স্বর্ণ নিয়ে আসা যায়
প্রতি জন যাত্রী নিজের সাতে করে 100 গ্রামের বেশি নয় এমন সোনার অলঙ্কার এবং 200 গ্রামের বেশি নয় এমন রূপার অলঙ্কার ট্যাক্স ছাড়া দুবাই থেকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারবেন।
দুবাইকে কেন সোনার শহর বলে
দুবাই কে বলা হয় সোনার হাব। তার প্রধান কারণ তারা বিশ্বব্যাপী অন্যতম বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক সোনার বাজার অফার করে থাকে।
যা সারা বিশ্ব থেকে পর্যটক এবং বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে। তাছাড়া সোনার কেন্দ্র হিসাবে দুবাইয়ের খ্যাতি এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে একটি বাণিজ্য পথ হিসাবে এর ইতিহাস এবং কৌশলগত অবস্থান উদ্ভূত।
সেখানকার দিরার এর পুরানো জেলায় অবস্থিত দুবাই গোল্ড সোক একটি নেতৃস্থানীয় সোনার বাজার হিসাবে শহরের মর্যাদার প্রামাণ্য দলিল। এখানে শত শত বিক্রেতারা প্রায়শই প্রতিযোগিতামূলক হারে গয়না, কয়েন এবং বার সহ বিভিন্ন ধরণের সোনার পণ্য অফার করে।
তাছাড়া সেখানে রয়েছে ৩৮০ টিরও বেশি খুচরা বিক্রেতা, যাদের বেশিরভাগই গয়না ব্যবসায়ী।
দুবাইতে সোনার দাম কম কেন
দুবাইতে সোনা অন্যান্য দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে সস্তা। তাই অনেক পর্যটক স্বর্ণের মূল্য কম থাকায় এবং সেই সাতে ভালো মানের স্বর্ণ পাওয়া যায় বলে গয়না ক্রয় করতে শহরে ভিড় করে। তবে dubai gold price 22k সোনা চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আর দুবাইতে স্বর্ণের মূল্য তুলনায় মূলক ভাবে কম থাকার প্রধান কারণ এই যে এখানে বিক্রি হওয়া সোনার আইটেমগুলির জন্য সরকার-কে শুধুমাত্র 5% ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) দিয়ে আরোপ করা হয়।
তবে সোনার দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কার্যক্রম ধাপ সোনার মূল্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যা সোনার মূল্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন; সেই ধাপ গুলো হলো আন্তর্জাতিক সোনার দাম, বিনিময় হার, সরবাহ ও চাহিদা, স্থানীয় বাজারের অবস্থা এবং সরকারি নীতি এবং ভ্যাট ইত্যাদি বিষয়সমূহ।
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
dubai gold price 22k এর মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক সোনার দাম কতটুকু প্রভাব ফেলে। তা বুঝতে হলে আমাদের জানতে হবে আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে। দুবাইতে সোনার দামের প্রাথমিক চালক হল আন্তর্জাতিক সোনার বাজার।
স্বর্ণের বৈশ্বিক মূল্য সাধারণত ইউএস ডলারে সেট করা হয়। তাছাড়া সরবরাহ ও চাহিদার গতিশীলতা, ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হারের মতো সামষ্টিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত দাম ওঠানামা করে।
বিনিময় হারের প্রভাব
যেহেতু দুবাই প্রাথমিকভাবে (UAD) বা United Arab Emirates Dirham কে AED পরিচালনা করে, তাই দিরহাম এবং মার্কিন ডলারের মধ্যে বিনিময় হার শহরের সোনার দামকেও প্রভাবিত করে থাকে। দিরহামের তুলনায় একটি শক্তিশালী ডলার AED পরিপ্রেক্ষিতে সোনাকে আরও দামী করে তুলে।
সরবরাহ এবং চাহিদার প্রভাব
যেকোন পণ্যের মূল্য নির্ভর করে তার চাহিদার উপর। আর দুবাইতে স্থানীয় চাহিদা এবং সরবরাহ সোনার দামকেও প্রভাবিত করে।
dubai gold price 22k এই সোনার উচ্চ চাহিদা, বিশেষ করে ঈদের মতো উত্সব ঋতুতে, দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিপরীতভাবে,সোনার সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি হলে, দাম নিম্নমুখী চাপ অনুভব করতে পারে।
dubai gold price 22k সোনার দামের ঐতিহাসিক প্রবণতা
দুবাইতে 22K সোনার দাম প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য ভাবে ওঠানামা করে , যা মূলত সোনার দামের বৈশ্বিক প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে, যেমন ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট বা ২০২০ সালে কোভিড-19 মহামারী, বিনিয়োগকারীরা মূল্যবান ধাতুতে আশ্রয় নেওয়ার কারণে সোনার দাম বেড়েছে।
তবে অফ-পিক সিজনে সোনার মূল্য তুলনা মূলক ভাবে কম থাকে। সেই সময় সোনা ক্রয় করার সবচেয়ে ভালো সময়।
সোনা ক্রয় পূর্বে করনীয় বিষয়
আপনি যদি দুবাইতে 22K সোনা কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি মনযোগী হতে হবে। যেমন; সোনার দাম তুলনায় করা, তার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা এবং অফ-পিক সিজনে সোনা ক্রয় করা।
অফ-পিক সিজন মানে কি? অফ পিক সিজন মানে সেই সময় দুবাইতে সোনার চাহিদা কম থাকা কে বুঝায়। তাই সেই সময় সোনার দাম তুলনায় মূলকভাবে কম থাকে। অর্থাৎ সেই সময় সোনা ক্রয় করার উপযুক্ত সময়।
শেষ কথা
আপনি বিনিয়োগ হিসাবে 22k সোনা কিনতে চাচ্ছেন অথবা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে dubai gold price 22k সোনার দামকে প্রভাবিত করে এমন কারণগুলি। যা আপনাকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে এবং আপনার ক্রয়ের মূল্য নির্ধারণে সর্বাধিক সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন : ১ ভরি কত গ্রাম
নতুন তথ্য ভিজিট করুন : আমেরিকার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা